আর মাত্র একটি রাত।এর পরেই চারদিক থেকে আতশবাজির সেই ঝমকালো আলো,সেই চমকানো শব্দ।চারদিকে ছোট বাচ্চাদের আনন্দের মিছিল।সবাই তখন নিজেদের বাসায় বাজি ফুটাতে ব্যস্ত।কার বাজি কত শব্দে, কত উপরে উঠে এই নিয়ে সবাই ব্যস্ত।

কিন্তু আমরা কি জানি আমাদের এই একটু আনন্দে মায়ের বুকে থাকা শিশুটি আতঙ্কিত হয়ে যায়।সে তো ভাবতে থাকে পৃথিবীতে হঠাৎ কি হল।এবং অনেকে এই আতঙ্কিত অবস্থা সহ্য করতে পারে না।যা বিগত কয়েক বছরে আমরা দেখেছি।এই আতশ বাজির বিকট শব্দের কারনে শিশু বৃদ্ধসহ রাস্তার কুকুর বিড়াল গুলোর খুবই সমস্যা হয়।হাসপাতালে থাকা রোগিটাও ছটফট করতে থাকে।ছোট্ট পাখিটিও তার মাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে কি হচ্ছে এই শান্তির ভুবনে।তখন মা তাকে তার পাখা দিয়ে আগলে রাখে।কিন্তু আতশবাজির সেই ঝমকালো আলো তাদের বাসাকে পুড়ে ছাই করে দেয়।

এভাবেই শত শত পাখির ছোট্ট সংসার আমাদের অজান্তেই নিঃশেষ হয়ে যায়।কি দোষ ছিল সেই পাখিটির?সে তো আমাদের পরিবেশকে সুন্দর আর রক্ষা করতেই এসেছিল এই ভুবনে।কিন্তু আমরা তাকে তা করতে দিলাম না।তাছাড়া আমরা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করছি।থার্টি ফাস্ট নাইটের পরের দিনই খবরে শুনা যায় ফানুস,আতশবাজির কারনে স্বপরিবারে পুড়ে গেছে।তাহলে কেন এই অল্প আনন্দে এতকিছুর ক্ষতি করছি আমরা?

তাই আসুন থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ভিন্নভাবে উদযাপন করি। এবং সাময়িক আনন্দকে বড় করে না দেখে পশুপাখিদের বেচে থাকাটাকে বড় করে দেখি।সেই ছোট্ট পাখিটিকে তার বেঁচে থাকার অধিকারটুকু দেই।একটি সুস্থ, সুন্দর এবং পশুপাখিদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তাদের উপহার দিই।


0 Comments

Leave a Reply

Avatar placeholder

Your email address will not be published. Required fields are marked *