#CallForWriting2022
Position : 3rd
হেঁটে, দৌড়ে কখনো বা উড়ে নিজের সৌন্দর্যের মোহিনীশক্তি দিয়ে সীমান্তের অতন্দ্র-প্রহরীদের কল্পময় ইন্দ্রিয়ের সমস্ত খেয়াল কেড়ে নিয়ে বৃষ্টির খোলা মাঠে দুর্বাদলশ্যামে পাঙ্খা মেলানো রাজহাঁসের গা ছুঁয়ে, কখনো বা শেষ বিকেলের নিস্তেজ রৌদ্রে দখিনা হাওয়ায় উড়তে থাকা পদ্মপাড়ের কাশফুল ছুঁয়ে অতিথি হিসেবেই বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে সে। প্রকৃতি এতক্ষণে গোধূলি সাজ ছেড়ে সন্ধ্যার সাজে সুসজ্জিত।
বিমোহিত হয়ে সে বলল,
“ঈশ্বর, তুমি এই আজকের দিবসকে বাড়িয়ে দাও। আঁধার এনো না পৃথিবীর বুকে। আমাকে এদেশীয় গোধূলির ধূলোয় ধূলিত হতে দাও। চোখের অনাবিল তৃপ্তি পেতে দাও।
আচ্ছা ঈশ্বর, তুমি আমার দেশটাকে এমন সুন্দর করলে না কেন? তুমি যদি এখনই প্রকৃতিতে আঁধার এনে দাও তাহলে আমার এক শর্ত; আমি আর ফিরব না। আমৃত্যু এইদেশে থেকে যাব আমি।”
কথাগুলো শেষ হতে না হতেই তার উপর শুরু হলো গুলিবর্ষণ। আশপাশের কিছু এদেশীয় পাখির সহযোগিতায় ডানে, বাঁয়ে নড়েচড়ে কোনোমতে সে নিজেকে রক্ষা করলো। পরিস্থিতি শান্ত হতেই কৃষ্ণচূড়া গাছটিতে উপস্থিত স্বাগতিকদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাতকানা এই অতিথি পাখিটি স্বদেশে ফিরতে ছলছল নয়নে পূর্ব দিগন্তে উন্মুখ হয়ে চেয়ে রইলো সূর্যোদয়ের অপেক্ষায়।
লেখাঃ- Mutasim Nayon
0 Comments